নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ২ জুলাই ২০১৯ইং তারিখ “দৈনিক ভোরের প্রত্যশা পত্রিকার প্রথম পাতায় “হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ” নামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছেন বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান পিকু। তিনি তার লিখিত প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যায় বলেন, আমি হাজী শরীয়াতুল্লাহ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির ৩ বারের নির্বাচিত বৈধ সভাপতি। আমার ন্যায়সংগত কাজ ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে আমার বিপুল জনপ্রিয়তায় ইর্ষাম্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে কমিটির কযেকজন সদস্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। উক্ত ষড়যন্ত্রকারী সদস্যগণ বাজার উন্নয়নের লক্ষে নির্মিতব্য (পরিকল্পনাধীন) মার্কেটের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েমের লক্ষে কমিটি থেকে নানা মিথ্যে অভিযোগ এনে আমাকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমাকে অন্যায়ভাবে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে হোটেল থেকে টাকা আদায় ও অনৈতিক কাজে সুযোগ করে দেয়া, সালিশের নামে অর্থ আত্মসাত, পৌরসভার রাস্তা নির্মাণ কাজের টাকা আত্মসাতের মত হাস্যকর অভিযোগ আনা হয়েছে যা সর্বৈভ মিথ্যে, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি কমিটির গঠনতন্ত্রের প্রতি শতভাগ শ্রদ্ধাশীল থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের ও কমিটির সদস্যদের মতামত গ্রহণ সাপেক্ষে বাজারের সার্বিক কল্যাণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকি। এতে আমার কোন ব্যক্তিগত ইচ্ছার প্রতিফলের কোন সুযোগ থাকেনা। আমার বিরুদ্ধে কতিপয় সদস্য কর্তৃক সংবাদ সম্মেলেনটি উদ্দেশ্যমূলক বলে আমি মনে করি। স্বাধীনভাবে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের মতামত গ্রহণ করলে সকল বিষয়ের সত্যতা বেড়িয়ে আসবে। প্রসংগত, ব্যাখ্যায় তিনি আরো বলেন,আমি হাবিবুর রহমান পিকু ১৯৯৩ইং সালে ফরিদপুর হাজী শরীয়াতুল্লাহ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে ৩ বছর মেয়াদী কমিটির লাইন সেক্রেটারী হিসেবে বিজয়ী হয়ে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। এরপর কমিটির নির্বাচন না হওয়ায় ৭ বছর আমি এ দায়িত্বে ছিলাম। ২০০১ ইং সালে ৪ বছর মেয়াদী কমিটির নির্বাচনে আমি সহ-সভাপতি পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। তৎকালীণ কমিটির সভাপতি হিসেবে শেখ আলী, পিতা-শেখ কাশেম, সাং-আলীপুর সভাপতি নির্বাচিত হন। বিশেষ কারণবশতঃ তিনি দায়িত্ব পালন না করার কারণে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল নেতৃবৃন্দের সমর্থনে আমি সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ২০০৬ ইং সালে হাজী শরীয়াতুল্লাহ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির (৪ বছর মেয়াদী) সভাপতি, ২০১২ইং সালের কমিটির নির্বাচিত সভাপতি, ২০১৮ইং সালের কমিটির (৪ বছর মেয়াদী কমিটি) সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়ে আমি আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার কর্মকান্ডে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরাও সন্তুষ্ট। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠনতন্ত্র মোতাবেক সকল ধারা উপধারার প্রতি আমি আস্থা ও শ্রদ্ধাশীল হয়ে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে অবিরাম কাজ করছি। সম্প্রতি গঠনতন্ত্রকে অবজ্ঞা করে নির্বাচিত সভাপতির স্থলে তাদের মনগড়া নির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি বজলুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে আমাকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ প্রদান করে, যা গঠনতন্ত্র কোনভাবেই সমর্থন করেনা। আমি সাধারণ ব্যবসায়ীদের দেয়া ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আমার কোন অসংগত বিষয় থাকলে সাধারণ ব্যবসায়ীরাই আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারতো। কিন্তু সেক্ষেত্রে গুটিকয়েক কর্মকর্তা নামমাত্র সাধারণ সভা ডেকে বহিরাগত কিছুলোকের উপস্থিতিতে আমাকে নাটকীয়ভাবে অব্যাহতি দেয়, যা সাধারণ ব্যবসায়ীরা সমর্থন করেনা এবং সাধারন ব্যবসায়ীরা ভয়ে এই কর্মকান্ডের বিষয়ে কোনো মন্তব্য দিচ্ছে না। হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজার নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে যা বাজারে আসা ক্রেতাদের কাছে সমালোচনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। সত্যতা হলো মার্কেটের নতুন ভবনের জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মাঝে তাদের দোকান বরাদ্ধ পাওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে এবং বাজারের পয়ঃনিস্কাশন বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে মতবিরোধ দেখা দিচ্ছিলো। যেহেতু আমি সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম তাই সাধারন ব্যবসায়ীদের মতামতকেই আমি গুরুত্ব দিচ্ছি যার জন্য আমার বিরুদ্ধে কমিটির কয়েকজন নাখোশ। আমি আমার বিরুদ্ধে আনীত উক্ত সকল মিথ্যে অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
Leave a Reply