বি এম রাকিব হাসান: খুলনার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক দখল করে চলছে বালুর ব্যবসা। সোনাডাঙ্গা-নতুনরাস্তা মহাসড়কের অন্তত ৫ কিলোমিটার সড়কে বালু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীদের। বছরের পর বছর ধরে সড়কের দুই পাশে রাস্তার ওপর বালু রেখেই রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। জনসাধারণের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, সোনাডাঙ্গা-নতুনরাস্তা মহাসড়কের মুজগুন্নী শিশু পার্কের সামনে রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য বালুর চাতাল তৈরি করে ব্যবসা করছে এলাকার প্রভাবশালীরা। বালু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সরকারি রাস্তার জায়গায় দখল করে প্রসাশনের বিনা অনুমতিতেই রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। যাতায়াতকারী যানবাহন ও পথচারীদের চোখে মুখে বালু উড়ে যাচ্ছে। রাস্তার দুই পাশের অসংখ্য বালুর চাতালের বালু রাস্তার অর্ধেক জায়গা দখল করে রেখেছে। ফলে সড়কে প্রতিদিনই স্কুল কলেজ গামী ছাত্রছাত্রী, বাস, ট্রাক ও পন্য বহনকারী বিভিন্ন যানবাহন বালু রাখা সড়ক পার হতে দূর্ঘটনার শিকার ও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তা ছাড়া প্রতিনিয়তই কাপেটিং রাস্তার অর্ধেক জায়গা দখল করে বালুবাহী ট্রাকগুলো লোড-আনলোড করা হয়ে থাকে। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী শত শত বাস, ট্রাক, পিক-আপ, মোটরসাইকেল, ভ্যান রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চললেও খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সূত্রমতে, সোনাডাঙ্গা-নতুনরাস্তা মহাসড়কের মুজগুন্নী শিশু পার্কের পাশে রয়েছে পুলিশ লাইন স্কুল, নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ, আবু নাসের হাসপাতাল সহ অসংখ্যা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাওয়া আসা করে। রাস্তা দখল করে বালি রাখায় রাস্তা সংকুচিত হয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। আর ধুলাবালিতে পথযাত্রীদের হতে হচ্ছে নাকাল। যেন দেখার কেউ নেই।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো: আজিম হোসেন জানান, সড়কের দুই পাশে বালু রাখায় শুধু যানবাহনই নয় স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় বালুর কারণে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যাওয়া স্কুল ও কলেজে যেতে পারে না। তা ছাড়া বাতাসের সঙ্গে বালু উঠে চোখে মুখে যাওয়ায় চোখের রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে।
Leave a Reply