রবিউল হাসান রাজিবঃ বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত মরনঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাস COVID-19 এর প্রাদুর্ভাবে সারা হতাশা। রাষ্ট্রীয় ভাবে লকডাউন করা হয়েছে সকল এলাকা। এতে খেটে খাওয়া দিন-মুজুর মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হচ্ছে।
যার কর্ম করার সামর্থ ছিল কিন্তু ৩৪ বছরে তার সামর্থ নেই তার কি অবস্থা হতে পারে একটু ভেবে দেখছেন!
ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা গ্রামের মোঃ কামরুল হাসান (৩৪), পিতাঃ শেখ আইয়ুব আলী, মাতাঃ আমেনা বেগম, সাং কাফুরা, থানাঃ কোতয়ালী, জেলাঃ ফরিদপুর, মোবাইলঃ ০১৭৬৮-২৫৪২০৮। তিনি পেশায় ছিলেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। মাঝে মাঝে ফরিদপুর বিদ্যুৎ অফিসের জন্য দিনমুজুর হিসেবে লাইনের কাজে যেতেন তিনি। একদিন কাজে যাবার পরে ভয়াবহ দূর্ঘটনার শিকার হলে তার দুই হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। মৃর্ত্যুর সাথে যুদ্ধ করে সে বেচে আছে। সংসারে তার দুটি সন্তান একটি মেয়ে মোছাঃ জিনিয়াস আক্তার (৮) সে সম্পূর্নই প্রতিবন্ধী, একটি ছেলে মোঃ জিহাদ শেখ (৪)। কামরুলের বাবা কৃষক, তাহার মা গৃহিনী, ছোট ভাই পড়ালেখার জন্য দুরে থাকে ও বৃদ্ধা দাদী রয়েছে তার সংসারে।
প্রকাশ থাকে যে দুর্ঘটনার জন্য বিদ্যুৎ অফিস থেকে তার চিকিৎসা সেবার ব্যয় ও দোকান করার জন্য কিছু নগদ অর্থ প্রদান করেছে। এ অবস্থায় সে কিছু আর্থিক সহায়তায় বাড়ির সামনে একটি দোকান চালু করেছে। কোন হাত না থাকায় পা দিয়ে কিছু কিছু কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছে। ভেবে দেখেন একটু কি কষ্ট করে কাজ করে যাচ্ছে সে।
কামরুলের সাথে আলাপ কালে তিনি সাংবাদিককে বলেন এ যাবত মানবিক ভাবে কষ্টের ভিতর দিয়েই চলছে তার জীবন। যার দুটি হাত কর্মক্ষেত্রে যাবার পরে দুঘটনায় কেটে ফেলতে হয় সেই বোঝে তার কষ্ট। যা অন্যরা বুঝবে না। দেশে অনেক সামাজিক সহযোগী সংগঠন থাকলেও কেউ এগিয়ে আসে নাই তার সহযোগীতার জন্য। আগে গেরদা ইউনিয়ন এরিয়ায় ছিল তার বাড়ী, এখন বর্ধিত পৌরসভার অংশে পড়েছে তাই ইউনিয়ন থেকে পায়না কোন সহযোগীতা। পৌরসভা থেকেও পায় না কোন সহযোগীতা। তার সাথে কথা বললে আক্ষেপ করে বলেন এজন্য রোহিঙ্গা হয়ে আছি।
বর্তমানে মহামারী দুর্যোগে তার ব্যবসা খুবই খারাপ অবস্থা। সে লোক মারফতে তার নিজ নামের ফেসবুক আইডিতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও সমাজের বিত্তবানদের বরাবর।
Leave a Reply