বোয়ালমারী প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দৈবকনন্দনপুর গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা ভ্যান চালক অসহায় আবুল কাশেম মোল্যা এক কেজি চালও পাননি বলে জানা গেছে। অনাহারে অর্ধহারে জীবন যাপন করছেন করতে হচ্ছে। পারছে না এই করোনা দুর্যোগের মধ্যে ভ্যান চালাতে। যার কারণে ইনকামও কমে গেছে। তার পৈত্রিক ৪ শতক বাড়ির জমি ছাড়া আর কোন জমি নেই। ওই ৪ শতক জমির উপরে কোন রকমের একটি ঘর দিয়ে বসবাস করে আসছে তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪.০৫.২০) আবুল কাশেম মোল্যা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার বর্তমান বয়স ৬০ বছর। আমি একজন গরীব অসহায় ভ্যানচালক। করোনা ভাইরাসের কারণে আমি বেকার হয়ে পড়েছে। আমার সংসারে ১ ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। আমার ভিটের ৪ শতক জমি ছাড়া আর কোন জমি নেই। ভ্যান চালিয়ে কোন রকম সংসার চালায়। এখন সংসার চালাতে গিয়ে অনাহারে, অর্ধঅনাহারে জীবন চালাতে হচ্ছে। আমি অনেকবার একটি শিমু কার্ডের জন্য মেম্বারদের পিছনে ঘুরেছি। ঘুরেও লাভ হয়নি। আমার জীবনে এক কেজি চালও পায়নি।
৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. ফরহাদ হোসেন সিকদার বলেন, আমি অল্প কিছু কার্ড পায়। যার কারণে তাকে দিতে পারি না। আমার ওয়ার্ডে যে সকল গরীব মানুষ আছে তাদের চাহিদা অনুযায়ী কোন কিছু পাই না। বর্তমানে সরকার যে ত্রাণ বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে তা থেকে কাশেম বঞ্চিত কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার চাহিদা অনুযায় আমাকে ত্রাণ বা অন্য কিছু দেওয়া হয় না। যার ফলে আমি অনেকেরে দিতে পারি না। অনেক বৃত্তিমানদের নাম বর্তমান মানবিক সহায়তার তালিকায় দেওয়া হয়েছে যাদের মাঠে প্রচুর জমিজমা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাশেম তো ভ্যান চালায় আর যাদের নাম দেয়া হয়েছে তারা তো বেকার।
শেখর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ই¯্রাফিল মোল্যা বলেন, আবুল কাশেম আমার কাছে কখনও আসেনি। কাশেমকে আইডি কার্ড নিয়ে আমার কাছে পাঠিয়ে দেও। আমি ব্যবস্থা করবো।
Leave a Reply