রুপসা প্রতিনিধিঃ রূপসা উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে শিক্ষকসহ ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন নৈহাটি ইউনিয়নের রহিমনগর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে মোঃ অপু (৩৪), নৈহাটি গ্রামের আলী আকবর শেখের স্ত্রী আমেনা বেগম (৭৫)ও টিএসবি ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের সাবেক এস আই ফকরুল আলমের ছেলে আল মামুন(৩২)।
জানা যায়, গত ৪জুলাই সকাল ১১ঃ৪০মিনিটের সময় অপু জ্বর ও শাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু-কর্নারে ভর্তি হয়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের I.C.U ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকাল ৪.৫০ ঘটিকায় তিনি মারা যায়।
এশা বাদ গাজী মেমোরিয়াল হাইস্কুল মাঠে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মৃত ব্যক্তির দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছিলো কি না, তাহা পরীক্ষার জন্য তাহার দেহ হতে নমুনা সংগ্রহ করেছে খুলনা মেডিকেল কলেজ।
অপর দিকে ৫জুলাই দুপুর ১২ টার সময় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমেনা বেগম (৭৫) মৃত্যু বরন করেন।
জানা যায়, তিনি আজ সকাল ১০ঃ৪০ মিনিটের সময় জ্বর, শাসকষ্ট ও স্টোক জনিত সমস্যা নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু-কর্নারে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া কালীন সময়ে হাসপাতালের সামনে এম্বুলেন্সেই দুপুর ১২ঃ০০.ঘটিকায় মারা যায়।
উক্ত মৃত ব্যক্তির দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছিলো কি না, তাহা পরীক্ষনের জন্য তাহার দেহ হতে নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজের পি.সি.আর-ল্যাবে পাঠানো হ য়।
এছাড়া ৪জুলাই রাত সাড়ে ৮টার সময় আল মামুন(৩২) রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে মৃত্যু বরণ করেন।
কয়েকদিন ধরে সে অসুস্থ ছিল বলে তার পরিবার জানায়। মামুন খুলনার বয়রা সরকারী প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করত। তার ১মাস বয়সের একটি ছেলে রয়েছে। তার করোনার নমুনা পরীক্ষা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দিলেও তার রিপোর্ট আসেনি। দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি জনসাধারনের সচেতনতা।
Leave a Reply