সদরপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক গোয়ালন্দ-তারাইল সড়কের সদরপুর অংশের শৌলডুবি মজুমদার বাজার এলাকার প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং-এর বিটুমিন ওঠে গিয়ে বড় রড় খাল-খুন্দা-গর্থ হয়ে গাড়ী চলাচলের সম্পূর্ন অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চরম ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলা-চল করছে। অহ-রহ ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা, প্রতিনিয়ত হত- আহত হচ্ছে শত শত যাত্রী। সড়কটি বার বার বিভিন্ন জোড়া-তালি দিয়ে মেরামত করা হলেও স্থায়ীত্ব হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকা বাসির। সড়কটির বিধ্বস্থ অংশের উক্ত ২ কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরাদ্দে জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের জন্য ফরিদপুর জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছে উক্ত এলাকার সাধারণ জনগণ।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু নির্মানের শুরুতে সড়ক ও জনপথের ফরিদপুর-সদরপুর তারাইল সড়কটি পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। সড়কটি উন্নয়ন কালে প্রসস্থ করা হলেও উক্ত এলাকার ১ কিলোমিটার সড়ক রহস্যজনক কারণে পূণনির্মানের কাজ করা হয়নি। পরবর্তীতে সড়কটির ঐ অংশ খালখন্দ হয়ে নষ্ট হয়ে গেলে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক এলজিইডির বরাদ্দে জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করে দেয়। বর্তমানে উক্ত অংশের সড়কের বিটুমিন পূনারায় ওঠে গিয়ে বেহাল দশায় দাড়িয়েছে। এব্যাপারে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল বারির সাথে কথা হলে তিনি জানান, উক্ত স্থানে সড়কের মেরামতের কাজের টেন্ডার দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিকাদার কাজ সমাপ্ত না করলে পূনঃ টেন্ডার দেযা হবে। কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বিল্লাল হোসেন ফকির জানান, শুনেছি সড়কের উন্নয়ন কাজের টেন্ডার হয়েছে গত এক বছর পূর্বে। কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে ও জনগণের ভোগান্তি শেষ হবে,তা আল্লাহ জানে। সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম নূরু জানান, শুনেছি গত এক বছর পূর্বে কাজের টেন্ডার হয়েছে, ঠিকাদাররা আজ পর্যন্ত কাজ শুরু করেনি । যার ফলে জনগণ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্থানীয়রা সড়কটিতে জরুরী ভিত্তিতে উন্নয়নের কাজ সমাপ্ত করার জন্য ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছে।
Leave a Reply