শরিফুল হাসান, সালথা প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সালথায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ইং পালিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে রবিবার (২১শে ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১মিনিটে উপজেলা পরিষদের শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, (এমপি), মাননীয় সংসদ উপনেতা বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর পক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, সালথা উপজেলা শাখা, উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ সালথা থানা, কমান্ডার বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সালথা ইউনিট সালথা ফরিদপুর, অফিসার্স ক্লাব সালথা ফরিদপুর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সালথা উপজেলা শাখা, সালথা প্রেসক্লাব, সালথা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সালথা সরকারি মডেল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সালথা সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর উপজেলা পরিষদের চত্বর থেকে সকাল ৮টায় প্রভাত ফেরি একটা র‌্যালী বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে এসে উপজেলা পরিষদের চত্বরে এসে থামে। বিকেল সাড়ে ৩টায় আলোচনা সভা এবং ৪টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রূপা বেগম, সালথা থানা তদন্ত অফিসার সুব্রত গোলদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি” গানের সুর বাজতে থাকে। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সকলেই কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে ভাষা আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ১৪৪ ধারা জারি ভঙ্গ ছাত্ররা মিছিল করেন। পাকিস্তানি বাহিনী সেই মিছিলে গুলি চালায়। গুলিতে শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ অনেকই। তাঁদের স্মরণেই এই শহীদ মিনারের সামনে এসে সকলেই বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধা-ভালোবাসার ফুলে ছেয়ে যায় মিনারের বেদি।