নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান বিপিএম সেবা’র তত্ত্বাবধানে ও সার্বিক দিক নির্দেশনায় তথ্য উপাত্ত যাচাই পূর্বক আলফাডাঙ্গা থানার অপমৃত্য মামলা নং- ১৩, ৯ই জুন ২০২১ বুধবারে মাত্র ০১ (এক) ঘন্টায় নিষ্পত্তি করা হয়।
৮ই জুন ২০২১ মঙ্গলবার বিকেল অনুমান ৩.০০টার সময় ভিকটিম ফাতেমা খানম (০৩) (প্রতিবন্ধী), পিতা- ফায়েক শেখ, মাতা- রেশমা বেগম, সাং- জাটিগ্রাম, থানা- আলফাডাঙ্গা, জেলা- ফরিদপুর নিখোঁজ হয়।
তাদের বাড়ীটি চন্দনা বারাশিয়া নদীর পাড়ে অবস্থিত। তাদের মেয়েকে তারা বসত বাড়ীতে রেখে রাস্তার পাশে সরকারী গাছ লাগাতে যায়। কিছু সময় পর বাবা ও মা বাড়ীতে এসে দেখে যে, তাদের প্রতিবন্ধী মেয়েটি বাড়ীতে নাই। তাদের মেয়েকে বাড়ীতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তাকে কোথাও না পেয়ে তারা ধারনা করে যে, তাদের মেয়ে চন্দনা বারাশিয়া নদীতে পড়ে গেছে।
উক্ত সংবাদ পায় জরুরী ডিউটিরত এসআই (নিঃ) উত্তম কুমার সেন দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গোপালগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস এবং খুলনা থেকে ডুবুরি এসে চন্দনা বারাশিয়া নদীতে দীর্ঘক্ষন তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু ভিকটিমকে উদ্ধার করতে না পেরে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিরা তাদের কর্মস্থলে ফেরত যায়।
পরদিন ৯ই জুন ২০২১ বুধবার সকাল অনুমান ১০.০০ টার সময় ভিকটিম ফাতেমা খানমের লাশ চন্দনা বারাশিয়া নদীতে ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয় লোকজন ভিকটিম ফাতেমা খানমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। জরুরী ডিউটিরত এসআই (নিঃ) নজরুল ইসলাম মুন্সী দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের বাবা ফায়েক শেখ (৩৪), পিতা- মৃত নুর মিয়া শেখ, সাং- জাটিগ্রাম, থানা- আলফাডাঙ্গা, জেলা- ফরিদপুর লিখিতভাবে থানায় অপমৃত্যুর সংবাদ দিলে বর্নিত মামলাটি ১২.১৫ ঘটিকায় রুজু হয়। এসআই (নিঃ) নজরুল ইসলাম মুন্সী বিধি মোতাবেক লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
ভিকটিমের মৃত্যুর জন্য কারো কোন ধরনের সন্দেহ না থাকায় বিনা ময়না তদন্তে তার বাবার নিকট লাশ সৎকারের জন্য হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানায় এসে অপমৃত্যু মামলাটি ১৩.১৫ ঘটিকায় অর্থাৎ মাত্র ১ ঘন্টায় নিষ্পত্তি করেন এবং স্মারক নং-২০৭৮, ৯ জুন ২০২১খ্রিঃ মূলে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ফরিদপুর বরাবর যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রেরণ করেন।
Leave a Reply